বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁঁছাতে হবে। এ দায়িত্ব নিতে হবে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, আমরা সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব এবং জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনে সক্ষম হলে এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব। কারণ আমরা দেশের ২০ কোটি মানুষের সঙ্গে কমিটমেন্ট করেছি। সফলতা অর্জনে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, "আপনাদেরকে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা জনসমর্থনবিরোধী কাজ করবে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।"
মঙ্গলবার বিকেলে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ভার্চুয়ালি অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্ন ও প্রস্তাবনার উত্তর দেন।
এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সম্প্রতি ডিসেম্বরে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন। তারপর তা সংশোধন করে জুনে নির্বাচন করার কথা বলা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “৩১ দফা বিএনপির একার দফা নয়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কী করবে, তা এই ৩১ দফায় বিস্তারিত রয়েছে। বাংলাদেশকে সংস্কারের পথে এগিয়ে নিতে এই ৩১ দফার বিকল্প নেই।”
মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের দাদামোড়স্থ আলমাস কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু ও ড. মাহাদী আমিন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা হাবিবা, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
এক দিনের এ কর্মশালায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ৬ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। বিকেল ৫টার কিছু আগে ভার্চুয়ালি কর্মশালায় যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক