পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে আপনার ত্বকে ডিহাইড্রেশন, শুষ্কতা এবং নিস্তেজতা দেখা দিতে পারে। সঠিক তদারকি (যত্ন) হতে পারে এর সমাধান। এক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখতে হবে, ত্বক ভালো রাখতে হলে মূল যত্ন নিতে হবে ভিতর থেকে। এ জন্য ইফতার এবং সাহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যাবশ্যক। তা ছাড়া ভাজাপোড়া ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি রাখুন ইফতারে। রাতে যেন ঠিকমতো ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইফতার থেকে সাহরির মধ্যে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
রমজানে ত্বকের যত্ন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রোজা রাখার কারণে আপনার ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা প্রভাবিত হতে পারে, ফলে শুষ্কতা, খসখসে ভাব এবং উজ্জ্বলতার অভাব দেখা দিতে পারে। রমজানে উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ত্বকের যত্নের এই টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন। যা অবশ্যই আপনার ত্বক মাসজুড়ে থাকবে আর্দ্র, কোমল এবং উজ্জ্বল। অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদরা সর্বদা রমজান মাসের ইফতার এবং সাহরির খাবারে কমলা, শসা এবং তরমুজের মতো আর্দ্রতাযুক্ত খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এছাড়াও সারা দিন রোজা রাখার পর- ভাজাপোড়া থেকে বিরত থাকলে ভালো। কারণ, এতে শরীর আরও বেশি পানিশূন্য হয়। তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে বরং ত্বক সতেজ রাখতে সহায়ক সেদ্ধ খাবার, ভিটামিন ‘এ’ ‘ই’ যুক্ত খাবার যেমন- গাজর, টম্যাটো, ব্রকলি ইত্যাদি সবজি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি জলীয় অংশ প্রচুর আছে এমন ফলমূল, ফলের রস, ডাব খাওয়া ডেতে পারে।
এবার আসি বাহ্যিক যত্ন প্রসঙ্গে
নিয়মিত ক্লিনজিং যে কোনো রুটিনে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। মেকআপ করুন আর নাই করুন, সকালে এবং রাতে মুখ অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
এরপর কোনোভাবেই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না। কারণ রোজার সময় ত্বক সহজেই আর্দ্রতা হারায়। তাই মুখ ধোয়ার পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
শুধু রমজান মাসেই নয়, যে কোনো সময়ই দিনের বেলা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। চার ঘণ্টার বেশি সময় বাইরে থাকলে আবারও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এক্সফোলিয়েটিং বন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করে, ত্বককে মসৃণ এবং আরও উজ্জ্বল করে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের রক্ত চলাচল ভালো হয়। ডার্মাটোলজিস্টরা সপ্তাহে একবার বা দুবার এক্সফোলিয়েটিং জেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
হেয়ার কেয়ার রুটিন
‘মাহে রমজান’ মাস চুলের স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এ সময় সাধের চুলকে উৎসবের জন্য প্রস্তুত করার জন্য মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্পে) পুষ্টিকর স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। ফুসিও স্ক্রাব (জোজোবা এবং মিষ্টি কমলার খোসা দিয়ে তৈরি) মৃদু ফর্মুলার, যা বিশেষত সেনসেটিভ স্ক্যাল্পের জন্য তৈরি। এটি শুষ্কতা, খুশকি এবং খসখসে ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক হতে পারে। অন্যদিকে, নিউট্রিটিভ ৮এইচ ম্যাজিক নাইট সিরাম অত্যন্ত পুষ্টিকর ফর্মুলায় তৈরি, যা রাতারাতি চুল পুনরুদ্ধার করবে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন। ৯১.৯% শক্তিশালী চুল নিয়ে জেগে উঠবেন, যা ধোয়া ছাড়াই সারা দিনের জন্য প্রস্তুত!
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ