কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গতকাল ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রথম দফার এ ভোটে রাজ্যটির ২৪৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ১২১টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। এদিন সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, রাজ্যটির দ্বিতীয় উপ-মুখ্যমন্ত্রী রাজীব সিনহা, মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, রাজীব রঞ্জন সিং প্রমুখ।
রাজ্যের ১৮টি জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আসনগুলো। সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়ে শতকরা ১৩.১৩ শতাংশ। এ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট এবং বিরোধী মহাজোট। এনডিএ জোটের শরিক দলগুলো হলো- বিজেপি, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা, বিকাশশীল ইনসান পার্টি। অন্যদিকে মহাজোটের শরিক দলগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিআইএম, সিপিআই। যদিও এবারের নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশটির ভোট কুশলী এবং রাজনৈতিক নেতা প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি।
প্রথম দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৫ জন, নারী ভোটার ১ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯ জন। এ দফায় মোট ১৪১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ১১৯২ এবং নারী প্রার্থীর সংখ্যা ১২২। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়াও নির্বাচনি ময়দানে রয়েছেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী সম্রাট চৌধুরী (তারাপুর কেন্দ্র), কৃষিমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা (লক্ষ্মীসরাই কেন্দ্র), স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে (সিওয়ান কেন্দ্র), জনশক্তি জনতা দল প্রার্থী তেজ প্রতাপ যাদব (মহুয়া কেন্দ্র), লোকসংগীত শিল্পী বিজেপি প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর (আলীনগর কেন্দ্র), ভোজপুরি সুপারস্টার আরজেডি প্রার্থী কেশরী লাল যাদব (ছাপরা), আরেক ভোজপুরি সুপারস্টার জন সুরজ পার্টি প্রার্থী রিতেশ পান্ডে (কারগাহার কেন্দ্র)। এ ছাড়াও বিহারের রাজনীতিতে বাহুবলি পরিচিত আরজেডি প্রার্থী ওসামা সাহাব (রঘুনাথপুর কেন্দ্র) এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং (মোকামা কেন্দ্র) থেকে লড়াই করছেন। দ্বিতীয় দফায় ১২২ আসনে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা ১৪ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নির্বাচন এবং সরকার গঠন সম্পর্কিত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।