চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রচারের শেষ দিনে তারা চষে বেড়িয়েছেন অনুষদ থেকে হল, ঝুপড়ি থেকে কটেজে।
ছাত্রদলসমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা করতে চাই। ভর্তির প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি আসন ও একটি পড়ার টেবিল নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এ ছাড়া শাটল ট্রেনে বগি ও পরিবহনসংকট সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন মত, পথ ও চিন্তার শিক্ষার্থী রয়েছে। নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্যসম্মত ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করব। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। পরিবেশদূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেব এবং শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখব।’ ছাত্রদলসমর্থিত প্যানেল আট দফা ইশতেহারে শিক্ষা, গবেষণা ও আবাসন সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট ৩৩ দফার ইশতেহারে পরিবহনসংকট, নিরাপত্তা ও হলে উন্নত সুযোগসুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের পরিবহন ও আবাসন সমস্যাকেই প্রধান এজেন্ডা করেছে।
নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভোট গ্রহণ থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে প্রদর্শনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে যত ভোটার, ততসংখ্যক ব্যালট পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৃষ্টিহীনদের জন্য পৃথক ভোটব্যবস্থা : দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক ভোট কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গতকাল দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা আলাদা ভোট কেন্দ্রের দাবি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা গ্রহণ করা হয়। দুইজন নির্বাচন কমিশনারের তত্ত্বাবধানে তারা ভোট দেবেন।