চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ২৮৫ দিনে আমেরিকায় ৩৩১টি বন্দুক হামলায় ৩৩১ জন নিহত এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুশয্যায় ১ হাজার ৫০৬ জন। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে একটি করে হামলায় একজন করে নিহত হয়েছেন। ফেডারেল স্বাস্থ্য দপ্তর ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ তথা সিডিসি ও ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আরও জানা গেছে, গত বছর ১২ মাসে ৩৪৫টি বন্দুক হামলার ঘটনায় মারা গেছে ৩৮৫ এবং ১ হাজার ৬৭৯ জন আহত হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাড়িভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। অপরদিকে মানুষের আয় কমেছে। এর ফলে দুর্বৃত্তরাও বেপরোয়া আচরণে লিপ্ত হয়েছে। যদিও বন্দুক হামলার জন্য সরাসরি চুরি-ছিনতাই কিংবা ডাকাতির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে খুবই কম।
উল্লেখ্য, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী তুমুল আন্দোলন হয়েছে করোনাকালেও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা সচেষ্ট ছিলেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করতে। কিন্তু রিপাবলিকানদের অকুণ্ঠ সমর্থন পাওয়া যায়নি। এর ফলে একটি আইন হলেও তা একেবারেই ঢিলেঢালা। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে যে, বন্দুক ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিচ্ছেন রিপাবলিকানদের নির্বাচনি তহবিলে। তুলনামূলকভাবে কম হলেও ডেমোক্র্যাটরাও চাঁদা পেয়ে আসছেন। এ কারণেই বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আইন প্রণয়নে কেউই আন্তরিক অর্থে সক্রিয় হচ্ছেন না।
এদিকে, পুনরায় ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থিরা হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। পুলিশও আগের মতো সরব হচ্ছে না ফোন পাওয়ার পরও। কারণ, ২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটায় মাত্র ২০ ডলালের একটি জালনোট ঘিরে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ কর্মকর্তার আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এহেন হত্যাযজ্ঞের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সারা আমেরিকায় আন্দোলন হয়েছে দীর্ঘসময়। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাড়ে ২২ বছরের কারাদ হয়েছে। এরপর থেকেই টেলিফোন পেলেও কোনো পুলিশ সদস্য স্বল্পতম সময়ে সাড়া দিচ্ছেন না।