ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা প্রান্তে রয়েছে ইন্টারসেকশন বা ইন্টারচেঞ্জ। স্থানীয়ভাবে এটি ভাঙ্গা গোলচত্বর হিসেবে পরিচিত। ভৌগোলিক কারণে স্থানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ইন্টারচেঞ্জ হয়েই ঢাকার সঙ্গে ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ। জায়গাটির যেমন গুরুত্ব রয়েছে ও তেমনি দর্শনীয় হিসেবেও পরিচিত। একসময় এখানে সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত আলো ঝলমলে পরিবেশ বিরাজ করত। কিছুদিন ধরে সন্ধ্যার পরই গোলচত্বর এলাকায় ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় শত শত সড়কবাতি জ্বলছে না। মাঝে মাঝে জেনারেটরের সাহায্যে কিছু বাতি অল্প সময়ের জন্য জ্বালানো হয়। আবার দীর্ঘ সময় পুরো অন্ধকার হয়ে থাকছে। পথচারীদের নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়। রয়েছে নিরাপত্তাঝুঁকিও।
ভাঙ্গা পৌর এলাকার ভ্যানচালক মজিবর মিয়া (৬৪) বলেন, রাতে ভাঙ্গা গোলচত্বরসহ ৩-৪ কিলোমিটার জায়গায় কিছুদিন ধরে সড়কের বাতি জ্বলছে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাঙ্গায় রাতে যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে বিপাকে পড়েন। স্থানীয়রা জানান, ইন্টারসেকশন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল সময়মতো পরিশোধ না করায় আগেও বিভিন্ন সময় সড়কে সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ সাব-স্টেশনের নৈশপ্রহরী সিরাজ খান জানান, ২০-২৫ দিন আগে স্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম পুড়ে যায়। জেনারেটর দিয়ে প্রতি রাতে কয়েক ধাপে ২-৩ ঘণ্টা লাইট জ্বালানো হয়।
ওজোপাডিকোর ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, শুনেছি ইন্টারসেকশন এলাকায় সড়কবাতির কিছু তার চুরি হয়েছে। এ ছাড়া পুড়ে গেছে সাব স্টেশনের তার। বর্তমানে ইন্টারচেঞ্জ সাব স্টেশনে আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু আছে। বিল মোটামুটি নিয়মিত আছে। তার পুড়ে যাওয়া ও চুরি হওয়ায় ইন্টারসেকশন কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এস এম হানিফ জানান, ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় বিদ্যুতের তার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি হওয়ায় সড়কবাতি জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না। ২০-২৫ দিন ধরে একটি জেনারেটর দিয়ে ২৮৫টি সড়কবাতি জ্বালানো হচ্ছে। বিরতিহীনভাবে জেনারেটরও চালু রাখা যাচ্ছে না।