পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা খর্ব হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ওই পদ্ধতিতে জনগণ নয়, রাজনৈতিক দলই ঠিক করবে কে হবে তাদের প্রতিনিধি। হঠাৎ পিআর পদ্ধতির দাবি সামনে আনায় যারা দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চান, তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। সুতরাং পিআর বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে। এখন পিআর দিলে জনগণ বুঝবেই না, এটা আসলে কী। গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ফাদার আলবার্ট রোজারিওর সভাপতিত্বে এবং খ্রিস্টান ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অনিল লিও কস্তার পরিচালনায় সভায় কারিতাস এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, কোর দি জুট ওয়াকস্রে পরিচালক রীতা রোজলিন কস্তা, দি মেট্রোপলিটন খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রতাপ আগস্টিন গমেজ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, বিএনপি ধর্ম বিষয়ক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট জন গমেজ, বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুশীল বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাখা হবে। ৪ কোটি বেকারের সংকট সমাধানে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দল ক্ষমতায় এলে দেড় বছরে এই সমস্যার সমাধান হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে যে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। যদিও সেটা বিঘ্ন করার বিভিন্ন অপচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সংসদ পদ্ধতির প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি উচ্চকক্ষের কথা বলেছে। এটি নতুন অভিজ্ঞতা। কিন্তু নিম্নকক্ষে পিআর অবাস্তব।