চাল ডাল আটা তেল মসলা, হিমায়িত মাছ, সবজি, শুঁটকি, প্রসাধনী, তৈরি পোশাক ও বিস্কুটের আমদানি শুল্ক বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে বিক্রি কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশিসহ এশীয়-আমেরিকান মালিকানাধীন ৩০ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। শত শত রেস্টুরেন্ট এবং মুদির দোকানের কর্মচারী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। দেনার দায়ে জর্জরিত ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া ঘোষণার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। করোনাভাইরাসের ভয়ংকর থাবা থেকে উত্তরণের পথে থাকা এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতির কারণে নতুনভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাপিটল হিলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেসনাল এশিয়া প্যাসিফিক আমেরিকান ককাসের চেয়ার কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং (নিউইয়র্ক), ভাইস চেয়ার কংগ্রেসম্যান টেড লু (ক্যালিফোর্নিয়া), সেকেন্ড ভাইস চেয়ার কংগ্রেসম্যান জিল টকুডা (হাওয়াই), এমিরিটাস চেয়ার কংগ্রেসওম্যান জুডি চু (ক্যালিফোর্নিয়া), ককাসের মেম্বার কংগ্রেসম্যান ডেভ মিন (ক্যালিফোর্নিয়া) এবং কংগ্রেসম্যান এড কেস (হাওয়াই)। কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, ক্ষমতা গ্রহণের দিনই নিত্যপণ্যের দাম কমানোর অঙ্গীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু শুল্ক আরোপের ফলে সারা আমেরিকায় এশীয়দের মালিকানাধীন ৩০ লাখের বেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লালবাতি জ্বলার উপক্রম হয়েছে। নিত্যপণ্য বিক্রি একেবারেই কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাথায় বাজ পড়েছে। বিশেষ করে, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এহেন অবস্থাকে মেনে নেওয়া যায় না। ক্রেতা-সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে দ্রব্যমূল্য। এজন্যে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখব।