ভেনেজুয়েলায় সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগে ৬৫ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসকের নাম মার্গি ওরোজকো। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘৃণা উসকে দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন কমিউনিটি নেতা তার মেসেজটিকে ‘রাষ্ট্রের প্রতি অবিশ্বস্ত ও উসকানিমূলক’ দাবি করে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তবে ওই নারীর পাঠানো অডিও বার্তার বিষয়বস্তু কিংবা সেটি কার কাছে পাঠানো হয়েছিল, তা প্রকাশ করা হয়নি।
২০২৪ সালের আগস্টে মাদুরোর পুনর্নির্বাচনের পর ব্যাপক রাজনৈতিক সংকটের সময় পশ্চিমাঞ্চলীয় সান জুয়ান দে কলোন শহর থেকে ওরোজকোকে গ্রেফতার করা হয়। নির্বাচনকে ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলসহ অনেক বিদেশি সরকার ‘জালিয়াতিপূর্ণ’ অভিযোগে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
সে সময় দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ এবং কমপক্ষে দুই হাজার ৪০০ মানুষকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার বেশিরভাগ মানুষ পরে মুক্তি পেলেও ওরোজকোকে কঠোর বিচারের মুখোমুখি হতে হয়।
নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট মাদুরো তার সমর্থকদের আহ্বান জানান, তারা যেন ‘ফ্যাসিস্টদের’ শনাক্ত করে রিপোর্ট করেন। তিনি সরকারবিরোধী মতাদর্শীদের উদ্দেশে এই শব্দটি ব্যবহার করেন।
ভেনিজুয়েলার মানবাধিকার সংগঠন জেইইপি জানিয়েছে, আটক অবস্থায় ওরোজকো দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও তার চিকিৎসা বা জামিনের বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরেক মানবাধিকার সংস্থা ফোরো পেনাল জানিয়েছে, বর্তমানে ভেনিজুয়েলার কারাগারগুলোতে ৮৮২ জনের বেশি রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি, জ্যামাইকা অবজার্ভার
বিডি প্রতিদিন/একেএ