ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে শ্যামলী খাতুন (২৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুজন নামে এক অভিযুক্তকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া রাজধানীর কদমতলীতে শান্ত আহমেদ বাবু (২৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। গতকাল তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
সোমবার রাতে কমলাপুর রেলস্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে শ্যামলীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমের সম্পর্কে অবনতি ঘটায় শ্যামলী ও সুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বেড়ানোর কথা বলে প্রাক্তন প্রেমিক সুজন কৌশলে শ্যামলীকে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে আসে। পরে কমলাপুর রেলস্টেশনের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় শ্যামলীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর সুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। নিহত শ্যামলীর গ্রামের বাড়ি নাটোরে। থাকতেন আজিমপুরে। আটক সুজনের গ্রামের বাড়ি পাবনায়। জানা গেছে, নিহত শ্যামলী ও সুজন স্বপ্ন সুপারশপের একটি শাখায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। তারা দুজনই বিবাহিত, তাদের আলাদা সংসার আছে। দুজনের বাচ্চাও আছে। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে দুজন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি ঘটায় এ হত্যাকা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিজান মামলা করেছেন।
একই রাতে কদমতলীর পাটেরবাগ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বন্ধু তন্ময় জানান, কয়েকজন সন্ত্রাসী পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবুর গলার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাবুর গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে। তিনি শনিরআখড়া মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন। তিনি একটি আইটি ফার্মে কাজ করতেন। ওই সন্ত্রাসীদের মধ্যে কোরবান, হাসান, হোসাইন ও জনি নামে কয়েকজনকে তারা চিনতে পেরেছেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, এ ঘটনায় তারা জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।