সিরাজগঞ্জ সদরের ছয়টি ও কামারখন্দ থানার চারটি ইউনিয়ন এবং সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-২ আসন। জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন এটি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রত্যেক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছে। সভা-সমাবেশ ও লিফলেট বিতরণ করছেন। আসনটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান মাঠে রয়েছেন। মাঠে আছেন জামায়াতের প্রার্থী মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মুহিবুল্লাহ হাতপাখা নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আসনটিতে ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে মির্জা মুরাদুজ্জামান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিম, ২০০১ সালে ইকবাল হাসান মাহমুদ নির্বাচিত হয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আইনি জটিলতায় ইকবাল হাসান মাহমুদ নির্বাচন করতে না পারায় তার স্ত্রী জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি রুমানা মাহমুদ নির্বাচনে অংশ নেন ও তিনি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে ডা. হাবিবে মিল্লাত ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জান্নাত আরা হেনরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, বিএনপি যতবার ক্ষমতায় থেকেছে ততবারই বাংলাদেশকে উচ্চস্তরে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আগামীতে জনগণ আবারও বিএনপিকে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আনবেন এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসন কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সিরাজগঞ্জবাসীর কাছে আমার পরিবার ঋণী। সিরাজগঞ্জের উন্নয়নের মাধ্যমে এ ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মির্জা মোস্তফা জামান জানান, আমার বাবা মির্জা মুরাদুজ্জামান ১৯৯১ সালে বিএনপির এমপি ছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে এবং বিএনপির ছাত্র রাজনীতি থেকে বেড়ে ওঠা একজন ক্ষুদ্র কর্মী হয়ে দীর্ঘ দিন রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করছি। মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত করতেই আমার মনোনয়ন প্রত্যাশার মূল কারণ।
জামায়াত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, জয়ের ব্যাপারে ইনশাল্লাহ আমি শতভাগ আশাবাদী। বাংলাদেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে যুদ্ধাপরাধী দল মনে করে না। জামায়াত নেতাদের সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও দুর্নীতিমুক্ত হওয়ায় জনগণ এখন তাদের প্রতি আস্থাশীল। এবার জনগণ জামায়াতকে ভোট দিবে।