নীতিমালা ছাড়া প্রশিক্ষণের নামে ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও তাঁর কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বেলা ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, সাবেক সিইসির ভুয়া প্রশিক্ষণের বাইরেও অন্য কোনো অনিয়ম থাকলে তা-ও খুঁজে বের করবে অনুসন্ধান দল। একাদশ জাতীয় সংসদে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণের নামে এসব ক্ষতিসাধন করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগে সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ ইসির পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ছাড়া ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নূরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেয় ‘স্থানীয় জনতা’। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে করা মামলায় তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।