রাজধানী ঢাকার বাজারে টানা তিন-চার সপ্তাহ ধরে মিনিকেট চাল ও সবজির দাম বাড়তি। ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। প্রতি সপ্তাহেই কিছু কিছু পণ্য কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছে। গতকাল মালিবাগ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল ও সবজির দাম আগের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ডায়মন্ড, সাগর ও মঞ্জুর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। আর মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া মোটা চাল স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা কেজিতে। সবজির বাজারেও তেমন স্বস্তি পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তিন সপ্তাহ ধরে সবজির দাম চড়া। করলা, কাঁকরোল, বরবটি, বেগুন-প্রায় প্রতিটি সবজিই ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে আর আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মালিবাগ বাজারে করলা ৭০, কচুর লতি ৭০, কাঁকরোল ৬০, বরবটি ৮০, ঝিঙে ৬০ এবং চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহেও ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে কাওরানবাজারে এসব সবজি ২ থেকে ৫ টাকা কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারদের দাবি, মৌসুমি বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। পাশাপাশি জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয় বাড়ায় পাইকারি পর্যায়ে দাম চড়া। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে যে সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতাম, এখন সেটা ৬০ টাকায় আনতেই পারছি না। দাম কমানোর কোনো উপায় নেই।
এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। সোনালী মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চালের মতো সবজি-মুরগির দামের এই বাড়তি চাপ সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়া গত দুই সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের কেজি ২০০-২৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে। এক মাস আগেও যেখানে কাঁচা মরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। হঠাৎ বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামও ৬০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকায়।