লালমনিরহাটের পাটগ্রামে থানা হেফাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ছিনিয়ে নিতে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছিনতাই হওয়া দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জাহিদ জয়, সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার রয়েছেন। বুধবার রাতে পাটগ্রামের মমিনপুরের বেলাল হোসেন ও মির্জারকোর্ট এলাকার সোহেল রানা নামের দুই পাথর কোয়ারি শ্রমিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাদের পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে থানায় ঢুকে প্রথম তর্ক ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় থানার দরজা-জানালা ভাঙচুর করে দুই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে পাটগ্রাম থানায় মামলা করে পুলিশ। প্রথম দফায় বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় বেলাল, সোহেলসহ আরও ছয়জনকে। সর্বশেষ গতকাল ভোরে হাতিবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাসহ গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ জনে। এদিকে হামলার সময় পাটগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সহায়তা চাইলেও থানা চত্বর ঘিরে রাখা ও রাস্তায় ব্যারিকেডের কারণে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতীবান্ধা উপজেলা আহ্বায়ক নুরুন্নবী কাজল, সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জাহিদ জয়সহ আরও দুজনকে। দলীয় সিদ্ধান্তে কাজলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জাহাঙ্গীর মোস্তাফিজ চপল এবং পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।