বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
দেশটির মজলিস-ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ও হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য বলেছেন, যদি ভারত থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে হয়, তাহলে তো শেখ হাসিনাকে দিয়ে সেটা শুরু করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ওয়েইসি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যদি ভারত থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করতে চায়, তা হলে তাদের পদচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েই সে কাজ শুরু করা উচিত।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শত শত ছাত্র-জনতা হত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে ভারতে চলে যান। তারপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
হাসিনা ভারতে পালানোর পর তার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্দেশে ওয়েইসির প্রশ্ন, ‘কেন আমরা হাসিনাকে এ দেশে আশ্রয় দিয়েছি? তিনিও তো এক জন বাংলাদেশি।’
নরেন্দ্র মোদির সরকারকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতকে ঢাকায় সংঘটিত ‘জনপ্রিয় বিপ্লব’কে মেনে নিতে হবে এবং বাংলাদেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একজন বাংলাদেশিই বসবাস করছেন এবং তিনি বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন।’
সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, মালদা ও মুর্শিদাবাদের দরিদ্র বাংলাভাষী ভারতীয়দের বিভিন্ন রাজ্য থেকে জোর করে ধরে এনে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ ছেড়ে দিয়ে আসা হচ্ছে! মোদি সরকারের ‘বাংলাদেশি বিতাড়নের নীতি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়েই হাসিনা-প্রসঙ্গের অবতারণা করেন তিনি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত