রাজধানীর বাজারে সবজি যেন এখন সোনার হরিণ। বেশির ভাগ সবজির দামই ১০০ টাকার ওপরে। কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হলেও তাতে স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাই অনেকেই বাধ্য হচ্ছে সবজি কম কিনতে। এ ছাড়া ডিম, মুরগি, মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অস্বস্তিতে আছে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গতকাল রাজধানীর মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরবটির কেজি ১০০, পটোল ৮০-১০০, ঢ্যাঁড়শ ৮০-১০০, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ৭০-৮০, কচুর লতি ৮০, কচুর ছড়া ৬০-৭০, টম্যাটো ১৬০, করলা ৮০-১০০, বেগুন ১০০-১২০, গাজর ১৬০, দেশি শসা ১০০ ও হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। তিন সপ্তাহ ধরে পিঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়ার দোকানে পিঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকা কেজি। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। যা সরবরাহ হচ্ছে তা-ও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। পরিবহন ভাড়া, শ্রমিক মজুরি মিলিয়ে সবজি বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানান তাঁরা। মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা শেখ আবদুল্লাহ মাসুম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা কি চাই না সস্তায় বিক্রি করতে? কিন্তু আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’ আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাও কমে গেছে। সাধারণ মানুষ সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছে।’ এদিকে ডিমের বাজারেও স্বস্তি পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। কয়েক সপ্তাহ আগে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, এখন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁসের ডিম ডজন ২২০, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০, সোনালি ৩০০ থেকে ৩৩০, সোনালি কক ৩৭০ ও দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে রুই ৩৫০, কাতলা ৪০০, পাঙাশ ২০০, চিংড়ি ৮০০, তেলাপিয়া ২৫০-২৮০, মাঝারি সাইজের কই ২৮০-৩০০, দেশি শিং ৭০০-৭৫০, পাবদা ৫০০-৬০০ এবং ইলিশ ৭০০-৮০০ গ্রাম ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।