জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ছয়জন আন্দোলনকারীকে পোড়ানোর ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনকে আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। তিনি আরও জানান, ১৯ জুন তদন্ত সংস্থা এই প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দিয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে এই মামলার ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ করেন সাইমুম রেজা। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, আশুলিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ (রনি), ঢাকা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক আবদুল মালেক, সাবেক উপপরিদর্শক আরাফাত উদ্দীন, সাবেক উপপরিদর্শক শেখ আবজালুল হক, সাবেক উপপরিদর্শক বিশ্বজিৎ সাহা, সাবেক উপপরিদর্শক কামরুল হাসান ও সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। এই ১১ জনের মধ্যে আটজন কারাগারে আছেন। এর মধ্যে সাতজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বাইরে আরও একজন গুলিতে গুরুতর আহত হন। একজনকে জীবিত ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলে পুলিশ। পুলিশের গাড়িতে এই ছয়জনকে (যার মধ্যে একজন জীবিত) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় যাঁরা শহীদ হয়েছেন তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বুসতামি, আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত একজন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২ জুলাই। সেদিন এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করার দিন ধার্য করা হয়েছে।