নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মেহেদী হাসান (৪২)। তিনি শাহী মসজিদ এলাকার জলিল মুন্সীর ছেলে এবং বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে রাত ৯টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় কুদ্দুস মিয়া (৬০) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে শান্ত (২৬), আলম চানের ছেলে রবিন (২৬) এবং সেলিম চৌধুরীর ছেলে সোহেল চৌধুরী (২৮)। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক দিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী বাবু-মেহেদী এবং রনি-জাফর পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ বিরোধের জেরে গত শুক্রবার দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন। গতকাল রাতে জাফর পক্ষের সমর্থক পারভেজের বাবা কুদ্দুসকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। হত্যার প্রতিশোধ নিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেহেদীকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন রনি-জাফর পক্ষের লোকজন। তারা মেহেদীকে পিটুনি দেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রাতেই র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।