সিলেটে শাসন করায় খুন হয়েছেন একজন মাদরাসা শিক্ষক এবং লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন এক যুবক। গতকাল সকালে সিলেট মহানগরের আখালিয়া বড়গুল এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা জুবায়ের আহমদ (৪৫) ও মঙ্গলবার রাতে খাদিমনগর উদ্যানের কাছে খুন হন আজাদুর রহমান (২৫) নামে এক যুবক। মাওলানা জুবায়ের বড়গুল গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ও স্থানীয় ডা. তানজিনা আহমদ দাখিল মাদরাসার সুপার। আর আজাদুর রহমান গোয়াইনঘাট উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মাওলানা জুবায়ের আহমদের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে নয়ন আহমেদ এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নয়নকে শাসাতেন মাওলানা জুবায়ের। চালচলন ভালো না হওয়ায় কিছুদিন আগে মাওলানা জুবায়ের তাঁর ছেলের সঙ্গে নয়নকে মিশতে নিষেধ করেন। গতকাল মাদরাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় নয়ন ময়লা পানি ছুড়ে মারে তার ফুপার গায়ে। এতে মাওলানা জুবায়েরের কাপড় নোংরা হয়ে যায়। বিষয়টি তিনি ফোনে পরিবারকে জানান। এরপর তিনি মাদরাসার উদ্দেশে হাঁটতে থাকলে পেছন থেকে এসে নয়ন উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহপরাণ এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন আজাদ। খাদিমনগর উদ্যান ও বুরজান চা বাগানের মাঝামাঝি যাওয়ার পর আজাদের মোটরসাইকেল নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় ওই স্থানে অবস্থান করছিল একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দেলোয়ার ও সহযোগীরা আজাদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আজাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিছুর রহমান জানান, পূর্ববিরোধের জেরে আজাদুর রহমান খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন থাকারও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।