লালমনিরহাটের সীমান্ত দিয়ে আবারও নিজ দেশের নাগরিকদের পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিজিবি ও গ্রামবাসীর বাধায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায় তারা। অন্যদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আরও ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল ভোরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ পাঁচজন ও পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বিজিবি ও স্থানীয়রা বাধা দিয়ে তাদের সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে ফেরত পাঠায়। এ ঘটনায় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
এর আগে, গত ২৮ মে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৫৮ জন নারী-পুরুষকে পুশইনে ব্যর্থ হয়ে নিজ দেশে ফেরত নেয় ভারত।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৭০ জনকে পুশইন : সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী চারটি এলাকা দিয়ে আরও ৭০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব পুশইনের ঘটনা ঘটে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামপুঞ্জি দিয়ে ১৭ জন, মিনাটিলা দিয়ে ২৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ১৭ জনকে পুশইন করা হয়। বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের পর তাদের আটক করে বিজিবি। আটক ৪৩ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে ও ২৭ জনের লালমনিরহাটে। এর মধ্যে ২২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৩০ জন শিশু। বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।