চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে বিএসইসির ৯৫৬তম কমিশন সভায় ‘চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (কমোডিটি ডেরিভেটিভস) প্রবিধানমালা-২০২৫’ অনুমোদন করা হয়। এটি দেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক বলে মনে করছে কমিশন। সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে প্রথমবারের মতো কমোডিটি ডেরিভেটিভস পণ্য লেনদেনের পথ উন্মুক্ত হলো। ফলে শেয়ার, বন্ডের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে স্বর্ণ, কৃষিপণ্য, শিল্পজাত পণ্য ও অন্যান্য কমোডিটির ডেরিভেটিভস লেনদেনের সুযোগ তৈরি হবে। বিএসইসি জানিয়েছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং বাজার আরও সক্রিয় রাখতে কমোডিটি ডেরিভেটিভস মার্কেট চালু করা হচ্ছে। এটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনাবেচার সুযোগ থাকবে। তবে সেসব পণ্য সরাসরি নয়, কাগুজে বা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে কেনাবেচা হবে। আর মূল পণ্যটি থাকবে কোনো গুদামে বা মাঠে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি বা হস্তান্তর হবে। দেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৭ সালে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সরকারের এ উদ্যোগ গতি হারায়। ২০১৭ সালের আগস্টে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেয় সিএসই। মন্ত্রণালয় থেকে পরে তা বিএসইসিতে পাঠায়। আর ২০২০ সালে বিএসইসির নেতৃত্ব বদলের পর কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর বিষয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়, যা কার্যকর হয় গত বছরের ২০ মার্চ।