জুলাই গণ অভ্যুত্থানের প্রেরণা, প্রতিজ্ঞা ও ঐক্য সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রার ঘোষণা দেয় প্ল্যাটফর্মটি। প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আপ বাংলাদেশের ৮২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ ওসমান পাটোয়ারীর বাবা আবদুর রহমান।
এ কমিটির আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ, প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাঈম আহমেদ এবং মুখপাত্র সারমিন সুলতানা ইরা।
দলটির লক্ষ্য নিয়ে আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘জুলাই কেন্দ্র করেই আমাদের এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। জুলাইয়ের শপথে আমরা আজ শপথ নিচ্ছি। শহীদ পরিবারের প্রতি আমাদের শপথ তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের রাজনীতি। এ ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি আমরা করব না। তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের রাজনীতি।’ তিনি বলেন, ‘মূলত এটা একটা পলিটিক্যাল প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে। আমরা এটার প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি এজন্য যে জুলাই অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট সেটা আস্তে আস্তে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যেও একটা হতাশা তৈরি হচ্ছে। এ অভ্যুত্থানকে আমরা যদি ডেলিভার্ট রাখতে না পারি তাহলে নতুন রাজনীতি বলতে আমরা যা বুঝেছি তা আর পরিণত হবে না। সুতরাং আমরা মনে করেছি জুলাইয়ের স্পিরিট কেন্দ্র করে, জুলাইয়ের দাবি কেন্দ্র করে একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যত একটা অবস্থান নিতে চাই।’ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা শরিক হন। আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আপ বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ জুলাই অভ্যুত্থানের একজন নেতা এবং ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। এর আগে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আপ বাংলাদেশের আরেকজন উদ্যোক্তা রাফে সালমান রিফাত জানাকের যুগ্ম সদস্যসচিব ছিলেন। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। জানাক থেকে পদত্যাগের পর ১৬ মার্চ আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত জানিয়েছিলেন, এপ্রিলে জুলাই গণ অভ্যুত্থান শক্তির নতুন প্ল্যাটফর্ম আসবে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল।