নিজেকে অসহায়, গরিব, বিপদে পড়েছি দাবি করে আদুরী বেগম নামের এক নারী নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তপোধন গ্রামে এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চান। ওই বাড়ির অভিভাবক আশিকুল ইসলাম ওই নারীকে আশ্রয় দেন। রাতে ওই নারী রোজা রাখার কথা বলে সাহরিও খান। শুক্রবার সারাদিন ওই নারী বাড়িতেই ছিলেন। তবে ইফতারের পরই ঘটে বিপত্তি। ওই এলাকার চার শিশু নিয়ে ইফতারের পরপরই ওই নারী গা ঢাকা দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। এরপর বিষয়টি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে জানানো হলে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রংপুর রেলস্টেশন থেকে অপহৃত চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণকারী আদুরী বেগমকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো চার বছরের ইসমাইল, রিফাত (৬), আঁখি মনি (৮) ও মিনু (১২)। স্থানীয় ও পুলিশের ধারণা, পাচারের উদ্দেশে ওই চার শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল।
আদুরী বেগম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ফকিরচর গ্রামের মনছুর আলীর স্ত্রী। তিনি রংপুর নগরীর বাবুপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। শিশু অপহরণের ঘটনায় হারাগাছ এলাকায় লিটন নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল হারাগাছ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন মকবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় আদুরী বেগমকে প্রধান করে আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। উদ্ধার শিশুদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে হারাগাছ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, পাচার না অন্য কোনো উদ্দেশে চার শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল তা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। গ্রেপ্তার হওয়া নারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।