রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে পাঁচটি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ছয়জন সদস্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি। যেসব কমিশনপ্রধান এবং সদস্য অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেছেন সম্প্রতি তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তালিকা মোতাবেক জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং এ কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমেদ কোনো পারিশ্রমিক নেননি। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন। এ ছাড়া পারিশ্রমিক নেননি- শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী ও এম মঈন আলম ফিরোজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার তাদের এ সেবার বিষয়টি ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণ করবে। সংস্কার কমিশন প্রধানদের বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির মর্যাদা, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি দেয় সরকার।
কমিশনগুলোর সদস্যদের মধ্যে যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নন তাদের কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ১০ হাজার টাকা সম্মানি নির্ধারণ করা হয়েছিল। যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কমিশনের প্রত্যেক সভায় অংশগ্রহণের জন্য ৫ হাজার টাকা সম্মানি পেয়েছেন।
তবে কমিশনপ্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন বলেও এক প্রজ্ঞাপনে এর আগে জানানো হয়েছিল।