ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রবিবার দিনগত মধ্যরাত থেকে উপত্যাকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় তারা প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। এ ছাড়া গাজার খান ইউনিসের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র নাসের হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা চালালে হামাসের আরও এক জ্যেষ্ঠ নেতা প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, গাজার খান ইউনিসের কিজান রাশওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গতকালের হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের অর্থবিষয়ক প্রধান ইসমাইল বারহুম নিহত হয়েছেন। সঙ্গে তার এক সহযোগীও নিহত হয়েছেন। আরেক খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৩টি ইহুদি বসতি এলাকাকে আশপাশের এলাকাগুলো থেকে আলাদা ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। গত রবিবার ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এ কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্মোট্রিচ এ পদক্ষেপ সম্পর্কে লিখেছেন, বসতি এলাকাগুলো শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। পশ্চিম তীরজুড়ে কয়েক হাজার আবাসনের অনুমোদনের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
গাজা ছেড়ে ইউরোপ : দক্ষিণ ইসরায়েলের র্যামন বিমানবন্দর থেকে রোমানিয়ার একটি সামরিক বিমানে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ৭০ জন ফিলিস্তিনি। খবরে বলা হয়, গাজা ছেড়ে অন্যত্র যেতে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তাদের অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে এই স্থানান্তরে সহায়তা করেছে।