জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে ৫ মে পর্যন্ত। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ৪ লাখ এনআইডি আবেদন অপেক্ষায়মান আছে, সেগুলো আমাদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
আমরা ৩ লাখ ৭৮ হাজারের একটা আবেদন তিন মাসের ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শেষ করার বিষয়ে ইতিপূর্বে বলেছিলাম। আমরা যেদিন বলেছিলাম তার পর আমাদের একটা প্রক্রিয়া ছিল। সেগুলো শেষ করে যখন আমরা কাজ শুরু করতে যাই তখন ২৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে আড়াই মাস পার হয়ে গেছে। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত আমরা আগের আবেদনসহ ২ লাখ ৭৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে আরও ৩ লাখ ২ হাজার আবেদন জমা রয়েছে।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, মাঠে এখন ভোটার নিবন্ধনের কাজ চলছে। কর্মকর্তারা এ কাজে বেশ ব্যস্ত। ২২ মার্চ পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ভোটারে নিবন্ধন হয়েছে। ভোটার নিবন্ধনের কাজে ব্যস্ত থাকায় কর্মকর্তারা এনআইডি আবেদনের কাজে সময় দিতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে ৫ মে। সে পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন কর্মকর্তারা। এই ব্যস্ততার কারণে এনআইডি সংশোধনে মনোযোগ দিতে পারিনি। এজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, আগে ভোটার নিবন্ধনের কাজ শেষ হোক। যখন ভোটার নিবন্ধনের কাজটা কমে আসবে তখন আমরা পুরো মনোযোগ সেখানে দিতে পারব। হুমায়ুন কবীর বলেন, যে গতিতে আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে, এভাবে কাজ হলে আমরা জনভোগান্তি কমাতে পারব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় যেন নিয়মিত এনআইডি আবেদন সংশোধনের প্রক্রিয়া মনিটরিং করা যায়, সেই সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে। এনআইডি সংশোধনের কাজে আর্থিক লেনদেনে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় এই চক্র কাজ করছে। কেউ কেউ টাকা-পয়সা নিয়েছে এমন আবেদনও পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমরা ডিবিকে (পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা) কাজে লাগিয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। ঠাকুরগাঁয়ে আমাদের একজন ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটরকে ধরা হয়েছে এবং তার নামে মামলা হয়েছে। নরসিংদীতে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।