গাজা উপত্যকার কিছু জায়গায় চলমান যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গতকাল এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে, এতে গাজায় ক্ষুধার সমস্যা মেটাতে জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো সড়কপথে নিরাপদে খাবার ও সহায়তা পাঠাতে পারবে। গাজার মূলত তিনটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ‘যুদ্ধবিরতি’ গতকালই কার্যকর হয়েছে। গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি-এই তিনটি অঞ্চলে রোজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সাময়িক বিরতি বহাল থাকবে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ‘ত্রাণ পৌঁছনোর স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে গাজার অন্যান্য অংশে সামরিক অভিযান আগের মতোই অব্যাহত রাখা হবে।’ জাতিসংঘ বা গাজায় কাজ করা ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে কিছুসংখ্যক মানবিক সহায়তাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে সংশয় প্রকাশ করেছেন। মাঠে ইসরায়েলি ঘোষণার বাস্তবায়ন কীভাবে হচ্ছে, তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে।-এএফপি
চলতি সপ্তাহে ১০০টির বেশি বেসরকারি সহায়তা সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও অস্বীকার করেছে তারা।
গত ২ মার্চ যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর গাজায় পুরোপুরি অবরোধ চাপিয়ে দেয় ইসরায়েল। গাজার ভয়াবহ রকমের খাদ্যসংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সতর্ক করার পর মে মাসের শেষ দিকে ইসরায়েল সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ বলেছে, শুধু গত শনিবারেই ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গুলিতে ৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ত্রাণের জন্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর আশপাশে অপেক্ষা করার সময় হামলার শিকার হয়েছেন। -এএফপি, রয়টার্স