থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা অস্ত্রবিরতিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন-মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরও দুই দেশই সীমান্তে একে অপরের বিরুদ্ধে কামানের গোলা ছুড়েছে।
কম্বোডিয়া বলেছে, তারা অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি কার্যকরে ট্রাম্পের আহ্বানকে সমর্থন জানাচ্ছে। এদিকে থাইল্যান্ড বলছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকলেও কম্বোডিয়া যতক্ষণ বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, ততক্ষণ আলোচনা শুরু করা যাচ্ছে না। নমপেন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই বলেছেন, ‘আমাদের শর্ত হচ্ছে, আমরা তৃতীয় কোনো দেশকে (মধ্যস্থতায়) চাই না, তবে উদ্বেগ দেখানোয় আমরা তাঁর (ট্রাম্প) প্রতি কৃতজ্ঞ। অস্ত্রবিরতি এবং সেনা ও দূরপাল্লার অস্ত্র প্রত্যাহারের শর্ত চূড়ান্ত করতে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছি আমরা।’
কম্বোডিয়া বলছে, গতকাল সকালে থাইল্যান্ডই সংঘাত শুরু করেছে এবং সীমান্তজুড়ে থাই বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পাল্টা অভিযোগ করে ব্যাংকক বলেছে, তারা কম্বোডিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় রাজি দুই দেশ : কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতা মেনে নিতে রাজি থাইল্যান্ড। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল বারনামা সংবাদ সংস্থাকে মোহাম্মদ হাসান জানান, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে আজ সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ায় যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের মালয়েশিয়ার ওপর পূর্ণ আস্থা আছে এবং আমাকে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।’ কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে হাসান আরও বলেন, অন্য কোনো দেশের এ বিষয়ে জড়িত হওয়া উচিত নয় বলে তারা একমত হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম গত শুক্রবার কম্বোডিয়া ও থাইল্যোন্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। -এএফপি, বিবিসি