ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে শমীককে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করে দলটি।
গত তিন বছর এ পদে থাকা সুকান্ত মজুমদারের স্থলাভিষিক্ত হলেন শমীক। এ দিন কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে জমকালো অনুষ্ঠানে দলের পক্ষে সংবর্ধনা জানানো হয় নতুন রাজ্য সভাপতিকে। তাঁর হাতে সনদ তুলে দেন কেন্দ্রীয় নেতা রবিশংকর প্রসাদ। অন্যদিকে সুকান্তের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন শমীক।
২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শমীকের নেতৃত্বে বিজেপি কতটা ঘুরে দাঁড়াবে সময়ই বলবে। যদিও নতুন দায়িত্বভার নেওয়ার পরই রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিসর্জন দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন শমীক। শমীক বলেন, ‘একসময় এ রাজ্যে বিজেপির ভোট ছিল ১ শতাংশের নিচে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলতেন-যে দলের বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব নেই, তাদের আমরা সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকি না। সেই সীমিত শক্তি নিয়ে আমরা বাংলার রাজনীতিতে এসেছি। এ পথ মসৃণ ছিল না। মানুষই বিজেপিকে এ জায়গা করে দিয়েছে। এখন বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র বিজেপিই।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যে মুখ এ রাজ্যে প্রত্যাখ্যাত, তার বিকল্পের প্রয়োজন নেই। মানুষ এখন মুক্তি চায়।’ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের শাসনামলে একাধিক দুর্নীতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শমীক। পাশাপাশি বেকারত্ব, কর্মসংস্থান, কৃষক, সংখ্যালঘুদের দুর্দশা, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতাসহ একাধিক ইস্যুতেও মমতার সরকারের সমালোচনা করেন শমীক।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল রাজ্যসভার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শমীক। ওই বছরই দলটির কোর কমিটির সদস্যও নির্বাচিত হন। দীর্ঘ প্রায় ৪৪ বছর ধরে যুক্ত আছেন রাজনীতির সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে ১৮ বছরের আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত শমীক ভট্টাচার্য।