নেপালে পুনরায় রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া সাবেক রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে রাষ্ট্রপ্রধান ও ‘হিন্দুধর্মকে’ রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা দেওয়ার দাবিও তোলেন তারা। বৃহস্পতিবার রাজধানী কাঠমুন্ডুতে হাতে পতাকা নিয়ে নানা ধরনের স্লোগান দেন ওই বিক্ষোভকারীরা। এর মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে জমায়েত হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ অলির সমর্থকরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, দুই দল সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে। পুলিশ দুই দলকে আলাদা রাখে এবং কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ভিন্ন সময়ে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ২০ হাজার মানুষ স্লোগান দেন, রাজাকে সিংহাসনে ফিরিয়ে আনুন, দেশকে রক্ষা করুন। আমরা আমাদের রাজাকে আমাদের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি। দিল নাথ গিরি নামের এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, যতদিন না রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয় এবং রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু করা না হয় ততদিন আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। এর আগে ২৮ মার্চের আন্দোলনে এক সাংবাদিকসহ দুজন নিহত হন। বিক্ষোভকারীরা ভবনে আগুন লাগালে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ওইদিন বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা এখনো জেলে। ২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে দেশটিকে একটি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধান করা হয় রাষ্ট্রপতিকে। সম্প্রতি কয়েক মাসে রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহকে রাজা হিসেবে পুনর্বহাল ও পুনরায় হিন্দু ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করার দাবি জোরালো হয়েছে। রাজতন্ত্রবাদী গোষ্ঠীগুলো দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্নীতি ও ব্যর্থ শাসনব্যবস্থার জন্য অভিযুক্ত করেছে। তারা দাবি করেছে, মানুষ রাজনীতিবিদদের প্রতি হতাশ।