ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের পর পুরস্কার হিসেবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দলটির অন্তর্র্বর্তী চেয়ারম্যান গহর আলী খান নবনিযুক্ত ফিল্ড মার্শালকে অভিনন্দন জানালেও পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদিয়ালা কারাগারের আদালতকক্ষে গত বুধবার আইনজীবী, পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান এই পদোন্নতির সমালোচনা করেন বলে তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করা এক বার্তায় দাবি করা হয়েছে। তবে এই টুইটটি বৃহস্পতিবার সকালে পোস্ট করা হয়। ইমরান খান সেদিন তার বোন এবং আইনজীবী সালমান সাফদার ও উসমান গিলের সঙ্গেও জেলে দেখা করেন। -ডন
ইমরান খানের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে তার প্রবেশাধিকার নেই। অন্য কেউ তার হয়ে পোস্ট করে থাকেন, তবে পিটিআই কখনো সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘জঙ্গলের আইন অনুযায়ী পাকিস্তান পরিচালিত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শালের পরিবর্তে রাজা ঘোষণা করলেই ভালো হতো।’ তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, ‘জঙ্গলের আইনে একমাত্র একজনই রাজা হতে পারে।’ ডন নিউজ বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এমন কড়া অবস্থান তার দলের অন্যান্য নেতাদের অবস্থানের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ, বিশেষ করে গোহর আলী খান- যিনি বৃহস্পতিবার কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে ব্যারিস্টার গোহর একটি স্থানীয় নিউজ চ্যানেলকে বলেন, ‘আল্লাহ সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে সম্মান দিয়েছেন এবং তার সঙ্গে দায়িত্বও এসেছে। আমি সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, দেশের পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য কাজ করুন।’ ডন তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘এই বিষয়ে পিটিআইর পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসবে। আমি বলছি, সেনাপ্রধান নতুন ফিল্ড মার্শাল খেতাব পেয়েছেন। আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি, তবে এই নতুন সম্মানের সঙ্গে তার ওপর আরও বেশি দায়িত্ব বর্তায়- তিনি যেন পরিস্থিতি আরও উন্নত করার জন্য তার ভূমিকা পালন করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। খান সাহেব গতকাল বলেছেন, আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আছি এবং যারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে জড়িত, তারা যেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকেন।’ তবে পিটিআই নেত্রী এবং ইমরান খানের বোন আলিমা খান মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে অন্তর্র্বর্তী চেয়ারম্যান গোহর আলী খানের বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘গোহর ব্যক্তিগতভাবে সেনাপ্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটি তার নিজস্ব মতামত, দলীয় মত নয়।’