প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি এবং আশপাশের এলাকা (এনসিআর)। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারতের রাজধানীর দিল্লিতে টানা বৃষ্টি শুরু হয়, গতকাল সকালেও সেই বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। সেসঙ্গে বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়ার দাপট। বেশ কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যদিও পরের দিকে তা হলুদ সতর্কতায় পরিবর্তন করা হয়। দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় তীব্র বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেসঙ্গে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে হলেও পূর্বাভাস দিয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দিল্লির মানুষকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বের হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ৫.৩০ থেকে ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রগতি ময়দানে হাওয়ার গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৭৮ কিলোমিটার। এ ছাড়াও নজফগড়ে ৫৬ কিলোমিটার, লোধি রোড এবং পিতমপুরায় ৫৯ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বয়।
গত কয়েক দিনের টানা দাবদাহের পর এই বৃষ্টি দিল্লিবাসীর কাছে সাময়িক স্বস্তি এনে দিলেও নতুন করে সমস্যায় পড়েছে তারা। টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত দিল্লিবাসীর স্বাভাবিক জনজীবন। লাজপতনগর, আরকে পুরাম, সাউথ এক্সটেনশন রিং রোড, মিন্টো রোড, মোতিবাগ এবং দ্বারকাসহ দিল্লির বেশ কয়েকটি অংশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এমনকি বিনোদনগরের কাছে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। রাস্তার ওপরে জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। ঝড়ো হওয়ার কারণে একাধিক জায়গায় গাছ, গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিল্লি বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের কাছে একটি বড় লোহার অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত বিমান চলাচল। অন্তত ৪০টি বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমেদাবাদ-জয়পুর, বেঙ্গালুরু-দিল্লি এবং পুনে-দিল্লি বিমান। বিমান ওঠানামায় বেশ কিছুটা দেরি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় শতাধিক বিমান দেরিতে চলাচল করছে।