অধিকাংশ ইসরায়েলি নাগরিক মনে করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত নয়। ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ১২–এর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে ৫২ শতাংশ ইসরায়েলি নাগরিক আগামী নির্বাচনে নেতানিয়াহুর প্রার্থী হওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ৪১ শতাংশ বলেছেন, তিনি নির্বাচন প্রার্থী হতে পারেন। বাকি ৭ শতাংশ এ বিষয়ে অনিশ্চিত।
নেতানিয়াহু না থাকলে লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে কাকে দেখতে চান—এমন প্রশ্নে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, তারা নিশ্চিত নন বা কোনো বিকল্পকেই উপযুক্ত মনে করেন না। জরিপে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছেন সাবেক মোসাদ প্রধান ইয়োসি কোহেন (১০ শতাংশ)।
এরপর যথাক্রমে কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার (৯ শতাংশ), প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ (৮ শতাংশ), বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন (৭ শতাংশ), নেসেট স্পিকার আমির ওহানা (৬ শতাংশ), অর্থমন্ত্রী নির বারকাত (৫ শতাংশ), পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর (৩ শতাংশ), কৃষিমন্ত্রী আভি ডিখটার (২ শতাংশ), জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন (১ শতাংশ) এবং পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ (১ শতাংশ)।
আগামী নির্বাচনে নেতানিয়াহুবিরোধী জোটের নেতৃত্বে কাকে চান—এই প্রশ্নে ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের পক্ষে মত দেন। এরপর ইয়েশ আতিদ পার্টির প্রধান ইয়ায়ির লাপিদ পান ১৬ শতাংশ সমর্থন। ডেমোক্র্যাটস পার্টির নেতা ইয়ার গোলান ও গাদি আইজেনকটের প্রধান ইয়াশার উভয়েই পান ১১ শতাংশ করে সমর্থন। ইয়িসরায়েল বেইতেনু পার্টির প্রধান আবিগদোর লিবারম্যান পান ১০ শতাংশ এবং ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির নেতা বেনি গ্যান্টজের পক্ষে মত দেন মাত্র ২ শতাংশ।
এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪-এর এক সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালের নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী বলেও জানান।
উল্লেখ্য, ডানপন্থি লিকুদ পার্টির এই নেতা ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯, ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল ও ২০২২ সাল থেকে পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ