ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ মলদোভায় আজ রবিবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির ইউরোপীয়-পন্থী পথচলা অব্যাহত থাকবে, না-কি মস্কোর দিকে ঝুঁকবে, তা নির্ধারিত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘গভীর হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ তুলেছে।
ইইউ-বহির্ভূত দেশ মলদোভার জনগণ ব্রাসেলসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অথবা মস্কোর সঙ্গে সোভিয়েত যুগের সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত।
বেশিরভাগ জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ২০২১ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইইউ-পন্থী পার্টি অফ অ্যাকশন অ্যান্ড সলিডারিটি (পিএএস) ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জরিপের এই ফলাফলই চূড়ান্ত নয়।
শুক্রবার এক্স-এ পিএএস-এর ইইউ-পন্থী সভাপতি মাইয়া সান্ডু এক পোস্টে লিখেছেন, মলদোভা তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও লিখেছেন, এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবে আমরা কি আমাদের গণতন্ত্রকে মজবুত করে ইইউ-তে যুক্ত হব, না-কি রাশিয়া আমাদের আবার ‘গ্রে জোনে’ নিয়ে যাবে এবং একটি আঞ্চলিক ঝুঁকি হিসেবে পরিণত করবে।
এদিকে ইইউ বলেছে, মলদোভা রাশিয়ার কাছ থেকে ‘একটি নজিরবিহীন বিভ্রান্তিকর প্রচারণার’ মুখে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ডোরিন রিচিয়ান দেশটি ‘ওপর অবরোধ’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
এদিকে মস্কো তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো, ভোট কেনা ও অস্থিরতা তৈরির করার চিসিনাউয়ের অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে, রাশিয়াপন্থী বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছে যে, ক্ষমতাসীন পিএএস ভোট জালিয়াতির পরিকল্পনা করছে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/একেএ