টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা এক তরুণীকে (২৭) গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ এবং আব্দুর রশিদের মা ও বাবা।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগীর পিতা মফিদ উদ্দিন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। এর ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার এই তরুণী রোজিনার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামের আব্দুর রশিদের (২৪) প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরে তাঁরা আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আব্দুর রশিদ তাঁর আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে রাতও কাটান। পরে স্বামীর বাড়িতে উঠতে চাইলে রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সম্পর্ক অস্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে রশিদের বাড়িতে গেলে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা শুক্রবার দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ এবং তার মা ও বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল