বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৌলতপুরে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক বিশাল আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দৌলতপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, "৩১ দফা কর্মসূচিতে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের রোডম্যাপ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। গণতন্ত্রের সুরক্ষা, শিক্ষা সংস্কার, স্বাস্থ্য খাতের আধুনিকায়ন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, কৃষির টেকসই উন্নয়ন এবং বৈষম্যহীন সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্র গঠনই মূল লক্ষ্য।"
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট, দমননীতি ও গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি সেই অন্ধকার থেকে জাতিকে মুক্তি দেবে।
নারীর অগ্রণী ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে বাবলু বলেন, "নারীরা আর ঘরে সীমাবদ্ধ নন। তারা সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অগ্রভাগে রয়েছেন। তাই নারী সমাজকে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।"
বাবলু আরও বলেন, "এই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সব জুলুম-নির্যাতনের প্রতিশোধ নেব। তবে সামনে পথ মোটেও মসৃণ নয়। বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "৫ আগস্ট ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন আশা ও স্বপ্ন নিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিএনপি কখনো দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা স্বজনপ্রীতিতে বিশ্বাস করে না, ভবিষ্যতেও করবে না।"
নিজের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তুলে ধরে বাবলু বলেন, "আমার পিতা মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ-১ আসনে বহু উন্নয়ন করেছেন। কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আমি সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চাই। আগামী নির্বাচনে জনগণের শক্তিই হবে বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার।"
সভায় সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. নুরুল ইসলাম কুন্টু।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম বিল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, শিবালয় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মহিদুর রহমান, মরহুম খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর ছেলে রোমান খোন্দকার জুনিয়র, জেলা কৃষক দলের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কে.এম চানমিয়া মাস্টার, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. রেজাউল করিম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন সৈকত, জেলা শহীদ জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, বিএনপি নেতা হিমোন খান, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক সহ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ছাত্র নেতা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক