যুক্তরাজ্যে চাকরি পেতে বাধ্যতামূলকভাবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেখাতে হবে—শুক্রবার এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
সরকার বলছে, এই পদক্ষেপে অবৈধ অভিবাসন কমবে এবং গোপনে কাজ করার সুযোগও অনেকটা বন্ধ হবে। পাশাপাশি নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, ভাতা, শিশুসেবা ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা গ্রহণও সহজ হবে।
স্টারমার স্পষ্ট করে বলেন, ডিজিটাল আইডি ছাড়া যুক্তরাজ্যে কেউ কাজ করতে পারবে না। তিনি জানান, ২০২৯ সালের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাধারণ নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্যে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক ছিল না। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত, কারণ অনেকে মনে করেন এটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে এবং তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলে। প্রায় ২০ বছর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র চালু করতে চেয়েছিলেন। তবে জনসাধারণ ও সংসদের বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি।
সরকার জানিয়েছে, নতুন ডিজিটাল আইডি বিনামূল্যে দেওয়া হবে এবং স্মার্টফোন না থাকলেও এটি ব্যবহার করা যাবে। এ বিষয়ে জনমত যাচাই করতে আলাদা পরামর্শ সভা আয়োজন করা হবে।
এই ঘোষণার পেছনে মূল কারণ ইংলিশ চ্যানেল হয়ে অবৈধভাবে অভিবাসীদের প্রবেশ ঠেকানো। গত বছর প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। এ বছরও ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ একইভাবে ঢুকেছে।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, মানবপাচারকারী চক্রকে দমন করা এবং অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ কমানোই সরকারের মূল লক্ষ্য। তার মতে, ন্যায্য ও কার্যকর অভিবাসন নীতি দেখাতে পারলে চরমপন্থী রাজনীতির প্রভাবও কমে আসবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল