জেন-জি তরুণদের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও সহিংস বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
মঙ্গলবার তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নেপালি সচিবালয়।
নেপালি সংবাদমাধ্যম, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে ওলি দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সাংবিধানিক রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “আমি ২০৭১ সালের (বিক্রম সম্বত) ৩১ আষাঢ় তারিখে নেপালের সংবিধানের ৭৬(২) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলাম। বর্তমান দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং সাংবিধানিক রাজনৈতিক সমাধান ও সমস্যা নিরসনের জন্য আরও পদক্ষেপ সহজতর করার উদ্দেশ্যে আমি নেপালের সংবিধানের ৭৭(১)(ক) অনুচ্ছেদের অধীনে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করছি।”
উল্লেখ্য, বিক্রম সম্বত (বিএস) নামে নেপালের নিজস্ব ক্যালেন্ডার রয়েছে, যা বাংলাদেশে প্রচলিত খ্রিস্টীয় (গ্রেগরিয়ান) ক্যালেন্ডারের থেকে প্রায় ৫৭ বছর এগিয়ে। ওলির পদত্যাগপত্রে সেই ক্যালেন্ডারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। বিক্রম সম্বতের ২০৭১ সাল মানে খ্রিস্টীয় ২০১৪ সাল। সে হিসেবে কে পি শর্মা ওলির পদত্যাগপত্রে উল্লিখিত ২০৭১ সালের (বিক্রম সম্বতের) ৩১ আষাঢ় দিনটি ছিল ১৫ জুলাই ২০১৪।
টানা দুই দিনের রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর এই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ওলি। সোমবারের সহিংসতায় কেবল কাঠমান্ডুতেই অন্তত ১৯ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হন। কারফিউ জারি ও ব্যাপক নিরাপত্তা মোতায়েন সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামানো যায়নি, বরং সরকারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। সূত্র: দ্য হিমালয়ান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ