মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কার দূরবর্তী শহর অ্যাঙ্কোরেজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠককে দুই দেশের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখানে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
ট্রাম্পের সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক এবং সিআইএ (মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা) পরিচালক জন র্যাটক্লিফসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর পর এটাই পুতিনের প্রথম পশ্চিমা সফর। পুতিনের প্রস্তাবেই এই বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হলেও ট্রাম্প বলেছেন, যদি পুতিন সমঝোতায় না আসেন, তাহলে বৈঠক কয়েক মিনিটেই শেষ হবে।
ইউরোপীয় নেতারা এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ বৈঠকের ফলাফল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে জেলেনস্কি সরাসরি আলোচনায় থাকছেন না এবং তিনি ট্রাম্পের চাপের মুখেও নিজের ভূমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘পরীক্ষামূলক আলোচনা’ হিসেবে দেখছেন, যাতে তিনি পুতিনের মনোভাব যাচাই করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট, আর তিনি আমার সঙ্গে খেলা করবেন না।’ তার ভাষায়, ‘ভালো না হলে বৈঠক দ্রুত শেষ হবে, আর ভালো হলে শিগগিরই শান্তি আসতে পারে।’ তবে তিনি বৈঠকের ব্যর্থতার সম্ভাবনা এক-চতুর্থাংশ (২৫%) বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপীয় নেতাদের ও জেলেনস্কির সঙ্গে পরামর্শ করবেন এবং কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হলে তা তিন পক্ষের বৈঠকে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন, রাশিয়া) হবে, যেখানে ভূখণ্ড বিভাজন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠক শুরু হবে শুক্রবার রাত ১টা (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ১টা) আলাস্কার এলমেনডর্ফ বিমান ঘাঁটিতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা এবং শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হতো।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৮৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনে নেয়—যা এখনো রাশিয়া তাদের ভূখণ্ড বিনিময়ের (land swap) উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল