রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধান মেজর জেনারেল মিখাইল গুদকভ নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রিমোরস্কি অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ কঝেমিয়াকো এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিখাইল গুদকভ রুশ নৌবাহিনীর উপপ্রধান ছিলেন এবং একইসঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধরত একটি ব্রিগেডের নেতৃত্বে ছিলেন। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি রাশিয়ার অন্যতম উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা যিনি প্রাণ হারালেন।
গভর্নর কোজেমিয়াকো এক আবেগঘন বিবৃতিতে বলেন, “গুদকভ ছিলেন এক দৃঢ় মনোবলের সাহসী সৈনিক, যিনি কর্তব্য পালনের সময় তাঁর সহযোদ্ধাদের সঙ্গে শহীদ হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে মৃত্যুর ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য তিনি দেননি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বৃহস্পতিবার গুদকভের মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, কুরস্ক অঞ্চলে সংঘর্ষে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গুদকভকে উপনৌসেনা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন, যার দায়িত্ব ছিল উপকূলীয় ও স্থলভিত্তিক বাহিনীগুলোর তত্ত্বাবধান। নিয়োগের সময় পুতিন বলেছিলেন, “মন্ত্রী ও জেনারেল স্টাফ প্রধানের মতে, গুদকভের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা অন্যান্য ইউনিটেও কাজে লাগানো প্রয়োজন। তাই আমি তাঁর ওপর আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেছি।”
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর আগেই গুদকভ এবং তাঁর সাবেক ১৫৫তম নৌবাহিনী ব্রিগেডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে। তারা দাবি করে, ইউক্রেনের বুচা, ইরপিন ও গোস্তোমেল শহরে বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিলেন গুদকভ। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযোগ, ওই ব্রিগেড ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল।
তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করে আসছে। যদিও ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার তদন্তকারীদের হাতে যুদ্ধাপরাধের একাধিক প্রমাণ রয়েছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম