উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বামপন্থীদের আদর্শিক নেতা হোসে ‘পেপে’ মুজিকা ৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। খাদ্যনালির ক্যানসারের সঙ্গে এক বছর লড়াইয়ের পর মে মাসের শুরুতে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়।
উরুগুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু ওরসি, বলিভিয়ার ইভো মোরালেস, ব্রাজিল সরকার, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ও গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্টসহ বহু নেতা মুজিকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
২০১০-১৫ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সাধারণ জীবনযাপনের জন্য মুজিকা পরিচিতি পান ‘বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে। তিনি বেতনের বেশিরভাগ দান করতেন, স্যান্ডেল পরে সরকারি অনুষ্ঠানে যেতেন এবং একটি ছোট খামারে পুরনো ফক্সওয়াগন গাড়ি নিয়ে বসবাস করতেন।
তরুণ বয়সে তিনি গেরিলা সংগঠন টুপামারোস-এর সদস্য ছিলেন এবং রাজনৈতিক কারণে ১৪ বছরের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। একসময় তাকে ছয়বার গুলি করা হয় ও কারাগার থেকেও পালিয়েছেন।
গণতন্ত্র ফিরে আসার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। অবসরের পরও তার খামার ছিল বামপন্থীদের তীর্থস্থান। তিনি ভোগবাদ ও পরিবেশবিধ্বংসী সংস্কৃতির কঠোর সমালোচক ছিলেন।
মৃত্যুর আগে তিনি নিজ খামারে প্রিয় কুকুরের পাশে সমাহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। স্ত্রী লুসিয়া তোপোলানস্কি এখনও জীবিত আছেন, তবে তাদের কোনো সন্তান নেই।
সূত্র : বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ