যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসন বিপন্ন এবং বিচার বিভাগ তছনছ হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন দেশটির প্রধান বিচারপতি জন রোবার্টস (৭০)।
১২ মে সোমবার ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন জর্জ টাউন ল’ স্কুলের সমাবর্তন-সমাবেশে বক্তব্যকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহিত কিছু পদক্ষেপকে সংবিধানের পরিপন্থি হিসেবে অভিহিত করেন রোবার্টস। সে সব নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদানকারী বিচারকগণের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকির প্রতি ইঙ্গিত করে মার্কিন প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, আইনের শাসন হুমকির মুখে নিপতিত হলে গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। একইসাথে সামজিক অস্থিরতাও বাড়তে থাকে।
জন রোবার্টস বলেন, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখাটা জরুরি এবং এটা হচ্ছে গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। তবে তা শুধু কেতাবে থাকলে চলবে না, সকল কাজকর্মে তার প্রতিফলন ঘটতে হবে। আজকের বিশ্বের বাস্তবতায় আইনের শাসনের কতটা বরখেলাপ হচ্ছে-তা ভাবতেও অবাক লাগে। আগে কখনো এমনটি ঘটলেও তা লাগাতারভাবে চলেনি।
ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কটি ল’ফার্ম এবং বিচারপতিকে টার্গেট করার ঘটনাকে অবিশ্বাস্য ও উদ্বেগের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। এমনকি আদালতের নির্দেশ অমান্যের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে ট্রাম্পের এ মেয়াদে। আইনের প্রয়োগ এবং মার্কিন প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে শ্রেণি কক্ষে আরো বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ রয়েছে এবং শিক্ষার্থীগণের মধ্যে আইন-আদালত সম্পর্কে বিদ্যমান রীতি-নীতি আরো গভীরভাবে অনুধাবনের পরিবেশ তৈরীর ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেণ, আইন-আদালত নিয়ে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটে এমন কোন মতামত প্রশাসন থেকে আসার আগে তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিসমাপ্তি দরকার। এবং এটাই হচ্ছে উত্তম একটি উপায়।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল