বাবার মৃত্যুর খবর দিতে গিয়ে ছেলের মরদেহ উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা। শনিবার একই পরিবারের দুই সদস্যের মরদেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার শোরগোল হাওড়ার বেলুড়ের ঠাকুরনপুকুর এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, বৃদ্ধ বাবা এবং যুবক ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে এবং কেন বাবা-ছেলে নিজেদের শেষ করে দিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের নাম সুভাষ পাল এবং অজিত পাল। সুভাষের বয়স ৭৫ এবং অজিত ২৮ বছরের। শনিবার সকালে পুকুরের ধারে একটি গাছে বৃদ্ধের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান কয়েক জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের চিৎকারে আরও লোক জড়ো হন। চিহ্নিত করা হয় মৃতের পরিচয়। মৃত সুভাষের বাড়িতে খবর দিতে ছোটেন কয়েক জন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তার ছেলে। ওই যুবক সিলিং ফ্যান থেকে গামছা ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দু’টি দেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তির জেরে বাবা-ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। প্রথমে ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। সেটা দেখে বাড়ির বাইরে গিয়ে পুকুরের ধারে গাছে গামছা ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস নেন বৃদ্ধ।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেহ দু’টি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর দু’টি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে জোড়া মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে বেলুড় থানার পুলিশ।