৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মিয়ানমারের সামরিক সরকার এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে, ঠিক যে সময় শুক্রবার ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
ব্যাংককে ফাটল ধরা ভবন থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উভয় দেশের উদ্ধারকারীরা এখনও জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও ভূমিকম্পের পর প্রথম ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর কারো বেঁচে থাকার আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্প চার বছরের গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা মিয়ানমারে ইতিমধ্যেই ভয়াবহ সংকট আরো জটিল করে তুলেছে। ধ্বংসযজ্ঞ সত্ত্বেও প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশটির সামরিক নেতারা এখনও গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মান্দালয়ে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই। কিছু দোকান খোলা থাকলেও লম্বা লাইন এবং খুব ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া ইন্টারনেট, যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ। শহরটি পুরো ধ্বংসস্তূপে ভরা।
মিয়ানামারের এই সংকটে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চিনসহ আরও একাধিক দেশ। ভারত, চিন, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডসহ অনেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে অনেক উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত মিয়ানমারের জন্য ভারত ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ চালু করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত