নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানের কারণে এখন পর্যন্ত তারা সংঘাতে জড়াচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি : সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন এবং আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ ‘দরবারগুলোর’ সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে তিনি শুনতে পেয়েছেন। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এটা অন্তর্বর্তী সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়। তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মুসলমানের মধ্যে বিভিন্ন তরিকা আছে। তাদের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করা যায়, আজও রাজনৈতিক নেতারা এটা নিয়ে ভাবেননি; বরং কেউ কওমিদের সঙ্গে, কেউ সুন্নিদের সঙ্গে- এভাবে ভাগ করে নিয়েছেন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতির হাতিয়ার করে নিয়েছেন।
মাহফুজ আলম বলেন, গত ১৫ বছরে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আদর্শিক বিরোধিতার জায়গা থেকে সুফি ঘরানাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি সংযোগ ঘটেছিল। আওয়ামী লীগ তাদের সুরক্ষা দেবে এবং তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। এই পরিমণ্ডলেই ধর্মীয় রাজনীতিটা আটকে গেছে। কওমিরাও এর বাইরে নয় বলেও মনে করেন তিনি।
দেশে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর সংযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘কোনো কোনো অ্যাম্বাসি চায় যে মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গাগুলো এখানে আছে।’