শনিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ আহরণে নামবেন জেলেরা। মা ইলিশ রক্ষা ও প্রজনন মৌসুমে জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সামান্য লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে নদীতে নামেন পদ্মা তীরবর্তীসহ মৌসুমি জেলেরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইলিশের বংশবিস্তার।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধে অভিযানে যান জেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় পদ্মায় চর-খলিলপুর নামক স্থানে নদীতে ৫০ থেকে ৬০টি নৌকা দেখতে পান তিনি। অভিযানের সময় তারা পদ্মা নদীর কোলে আশ্রয় নেন। এ সময় সহকারী কমিশনারকে দেখে জেলেরা উত্তেজিত হয়ে যান। শাস্তির বদলে সহকারী কমিশনার জেলেদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বেশিরভাগ জেলে পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার বাসিন্দা।
তারা জানান, প্রজনন মৌসুমে প্রকৃত জেলেরা কোনো চাল সহায়তা পায়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই তারা পদ্মায় ইলিশ শিকারে নেমেছেন। জেলেদের কথা শোনার পর কথা বলতে শুরু করেন সহকারী কমিশনার আবু বকর সিদ্দিক। তিনি প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ও জাটকা ধরার ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কথা শুনে প্রকৃত জেলেরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
জেলার সহকারী কমিশনার মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার সঙ্গে যে জনবল ছিল ওই জনবল নিয়ে জেলেদের আটক করা দুরূহ ছিল। আমি চেষ্টা করেছি তাদের কথা শুনতে। তাদের কথা শুনেছি। তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেছেন। তারা কথা দিয়েছেন, জাটকা ধরা থেকে তারা বিরত থাকবেন। আসলে শাস্তির বদলে সচেতনতা ভালো কাজ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের জেলে দেবেন। আমরা ম্যাজিস্ট্রেটের কথা শুনেছি। তিনি সুন্দরমতো ইলিশসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরা আগামীতে ইলিশসম্পদ রক্ষায় ভূমিকা রাখব।
উল্লেখ্য, মা ইলিশের প্রজননের জন্য সারা দেশের সাগর ও নদীতে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ বন্ধ ছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি