দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এর ফলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১৮৭টি বিদ্যালয়ে আজ (সোমবার) ক্লাস হয়নি।
বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত ছিলেন। তাঁরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে বসে কর্মবিরতি পালন করেন। রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহবাগে সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনায় বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কোটালীপাড়ার শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যোগ দেন।
৪৯ নম্বর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার স্বর্ণা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে, চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, “বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।”
কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, “ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে তাঁরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।”
উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলায় মোট ১৮৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল