দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’। এ বিষয়ে সম্মতিপত্র (এলওআই) দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকের ঘোষিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে সরকার এবং আমানতকারীদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ১৫ হাজার কোটি টাকা শেয়ার হিসেবে যুক্ত হবে। মূলধনের পরিমাণ বিবেচনায় এটি হবে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক।
গতকাল বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে এ সংক্রান্ত এলওআই ইস্যু করা হয়েছে। এই ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে। এর আগে গত বুধবার সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য এলওআই চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে সরকার। প্রাথমিক এলওআইয়ের ভিত্তিতে এখন যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে কোম্পানির লাইসেন্স নিতে হবে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক চূড়ান্ত লাইসেন্স ইস্যু করবে। প্রাথমিকভাবে সরকারি মালিকানায় ব্যাংকটি পরিচালিত হবে। একীভূত ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এর আগে পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার লক্ষ্যে গত সপ্তাহে এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সবাই সরকারি চাকরিজীবী। নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পান্না, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় পরিচালনা পর্ষদে কিছু পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে নতুন ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, অর্থছাড়সহ বিভিন্ন বিষয়ে গতকাল বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব।