ফিলিপাইনে আঘাত হানতে যাচ্ছে সুপার টাইফুন ‘ফাং ওং’। এটি স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা বা রাতে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে দেশটির উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা। শক্তিশালী এ সামুদ্রিক ঝড়টির প্রভাবে এখন পর্যন্ত দুজন নিহত হয়েছেন। টাইফুনটি আঘাত হানবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের লুজনে। প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির কারণে বিকোল অঞ্চলের বড় অংশ এবং লুজন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, টাইফুনটির বিশাল মেঘপুঞ্জ এরই মধ্যে লুজনের বড় অংশে আছড়ে পড়েছে। সেসব এলাকায় ১৮৫ কিলোমিটার ঘণ্টা এবং ২৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইছে। যার প্রভাবে ওই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ হলো লুজন। সেখানকার অন্তত ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
লুজনে টাইফুনের সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং মেট্রো ম্যানিলা এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোতে লেভেল-৩ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিকোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মেট্রো ম্যানিলার সাংলে বিমানবন্দর এরই মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যে দুজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন পানিতে ডুবে, আরেকজন বাতাসের প্রভাবে ভেঙে পড়া বাড়ির নিচের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কালমায়েগি নামে আরেকটি শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানে ফিলিপাইনে। কালমায়েগির তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় ১২০ জন নিখোঁজ আছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তারাও নিহত হয়েছেন।
কালমায়েগির ক্ষত সারতে না সারতেই এখন আরেকটি সুপার টাইফুন ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালাতে যাচ্ছে।
এখানে উল্লেখ্য, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে ২১টি সামুদ্রিক ঝড়। এর মধ্যে কালমায়েগি সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল। সূত্র : রয়টার্স