সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়ার পর আবারও সেই আসনেই ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নানা নাটকীয়তা ও জল্পনার পর বিসিবি এবারও টেস্ট দলের নেতৃত্বে আস্থা রাখছে এই তরুণ ব্যাটারের ওপর।
গত জুনে শ্রীলঙ্কায় পূর্ণাঙ্গ সফরে যাওয়ার একদিন আগে শুরু হয় গোলমালের সূত্রপাত। দেশে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলন শেষে শান্ত জানতে পারেন, তিনি আর ওয়ানডে অধিনায়ক নন-আগাম কোনো তথ্য না দিয়েই সীমিত ওভারের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। প্রথমে কিছু না বললেও, অভিমান জমে ছিল শান্তর মনে।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হতেই সেই অভিমান প্রকাশ করেন তিনি। ঘোষণা দেন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার। তবে বিসিবির তখন তাড়াহুড়ো করে নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না, কারণ পরবর্তী সাড়ে চার মাসে টেস্ট খেলার কোনো সূচি ছিল না।
এখন যখন নভেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড সিরিজ, তখন আর দেরি করার সুযোগ ছিল না। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার রাতেই বোর্ড কর্তারা বসেন টেস্ট অধিনায়ক নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে। সেই বৈঠকেই শান্তকে রাজি করানো হয় পুরনো দায়িত্বে ফেরার জন্য।
আগামীকাল মঙ্গলবার সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে শান্ত তার এই প্রত্যাবর্তনের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
নেতৃত্বে ফেরা প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, তিন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক থাকায় আমি আগেই সরে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় সব পরিষ্কার। আমি কনফিডেন্ট, কোনো জটিলতা হবে না। অন্য দুইজন ক্যাপ্টেনের (লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ) সঙ্গেও কথা হয়েছে। এখন আমাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ আছে। এ কারণেই মনে হয়েছে (ফেরার) সময়টা সঠিক।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরের সময়টাকেও তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। শান্ত যোগ করেন, এই সময়টায় ভালোই ছিলাম। এখন বোর্ডের যে যোগাযোগ, যে মনোভাব তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি দলই সবার আগে। বোর্ডে থাকা সাবেক ক্রিকেটারদের চিন্তাধারা আমার ভালো লেগেছে। তাই ফিরেছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই